দুই সাক্ষীদাতা চিকিৎসককে পাওয়া যাচ্ছে না
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী দুই চিকিৎসককে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।
এ কারণে ১২ বছর আগে সংঘটিত আলোচিত হত্যা মামলাটির বিচার এখনো শেষ হয়নি। পুলিশের গাফিলতির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন আদালত সংশ্লিষ্টরা।
জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও তাদেরকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। এছাড়া সম্প্রতি শাহবাগ থানা পুলিশ সাক্ষীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি মর্মে তাদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
ডা. শহিদুল ইসলাম ও ডা. মেজর শওকত হাসান এ দুই চিকিৎসকের কারণে মামলাটির বিচার শেষ হচ্ছে না। ডা. শহিদুল ইসলাম ওই সময়ে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। আর ডা. শওকত হাসান সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ হিসেবে সেই সময় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) কর্মরত ছিলেন। তারা দুজনই ড. হুমায়ুন আজাদের শরীরের জখমের পরীক্ষা করেন।
তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালের ১৯ মে সমন জারি করেন আদালত। তারপরও তারা হাজির না হওয়ায় ২০১৬ সালের ৫ জুন তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এ পর্যন্ত কয়েকটি ধার্য তারিখ অতিবাহিত হলেও তারা আদালতে সাক্ষী দিতে হাজির হননি। মামলাটি ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবিরের আদালতে বিচারাধীন। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। ওই দিনও তারা আদালতে হাজির হননি।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলা একাডেমির উল্টাদিকে ফুটপাতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন ড. হুমায়ুন আজাদ। হামলার পর তিনি ২২ দিন ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসারত ছিলেন। কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ২০০৪ সালের আগস্টে গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান এই লেখক। পরে ওই বছরের ১২ আগস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ